১২৩২ মিনিট আগের আপডেট; রাত ৩:১৫; বৃহস্পতিবার ; ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রবাসীদের পাশে ভিয়েনার বাংলাদেশ দূতাবাস

অনলাইন ডেস্ক: ৩১ মে ২০২১, ১৬:৩৬

 

মধ্য ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে এবং জাতিসংঘের ভিয়েনার কার্যালয়ে স্থায়ী মিশন হিসেবে ২০১৪ সালে দেশটির রাজধানী ভিয়েনায় নতুন দূতাবাস চালু করে বাংলাদেশ সরকার। অস্ট্রিয়ার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী তিন দেশ হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও স্লোভেনিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুসংহত করার কাজ করে থাকে এ দূতাবাস।

সূত্রমতে- অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও স্লোভেনিয়াতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা আট হাজারের কাছাকাছি। ভিয়েনার বাংলাদেশ দূতাবাস এ অঞ্চলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে আশা ও ভরসার জায়গা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দূতাবাসের পরিষেবায় সন্তুষ্ট প্রবাসীরা। তারা মনে করেন, যেকোনো প্রয়োজনে অ্যাম্বাসিকে পাশে পেয়েছেন।

অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের বিরুদ্ধে প্রবাসীদের অভিযোগের কথা প্রায়ই দেখতে পাই। তবে ভিয়েনার বাংলাদেশ দূতাবাস এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। ২০১৪ সালে আবু জাফর ভিয়েনার বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও স্লোভেনিয়াতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ সংরক্ষণে তিনি বিশেষভাবে কাজ করেছেন। বর্তমানে মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত ভিয়েনার বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনিও আমাদের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক।

মাহবুবুর রহমান আরও যোগ করেন, দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন রাহাত বিন জামান এবং প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান তারাজুল ইসলামের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ না করলে নয়। যেকোনো সমস্যায় তারা আমাদের সম্ভাব্য সকল দিক থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছেন।

হাঙ্গেরিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী তন্ময় ওবালডিন গোমেজ বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের জীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছিল। মহামারির শুরুর দিকের সময়টা ছিল খুবই ক্রান্তিকালীন। এ সময় দূতাবাস আমাদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে। গত বছর আমরা যখন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন রাহাত বিন জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আমাদের দূতাবাসের পক্ষ থেকে অর্থ সহায়তা দিয়ে সাহায্য করেন।

আরেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী শামছুল ইসলাম সিপার বলেন, গত বছরের এপ্রিল মাসে আমি করোনায় আক্রান্ত হই। তখন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তাদের পক্ষ থেকে আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়। দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন রাহাত বিন জামান এবং প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান তারাজুল ইসলামের আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। তারা আমার অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে শরীরের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।

রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়াতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশে থাকতে আমাদের দূতাবাস বদ্ধপরিকর। বিদেশের মাটিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাদের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন। দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স। আমরা চাই প্রবাসীদের জন্য সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কর্তব্য পালন করতে।