১১১ মিনিট আগের আপডেট; রাত ২:০১; শুক্রবার ; ২৯ মার্চ ২০২৪

ঘরে নয়, ফুটবল ফিরেছে রোমে

ক্রীড়া ডেস্ক ১২ জুলাই ২০২১, ১১:০২

আধুনিক ফুটবলের জনক বলা হয় ব্রিটিশদের। ফুটবলের ঘরেই এবার বসেছিলো ইউরোর আসর। প্রতিপক্ষ রোম সভ্যতার সৈনিকরা। কিন্তু ঘরে রাখা হলোনা ফুটবল। ফুটবলের জনকদের কাঁদিয়ে এবার ইউরোর শিরোপা জিতে নিয়েছে ইতালি। সভ্যতার প্রাণকেন্দ্র রোম ভাসছে উন্মাদনায়।

টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে ইতালি। ৫৫ বছর পর কোনো মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে গ্যারেথ সাউথগেটের কোচিংয়ে ইংলিশদের প্রথমবার ইউরো জয়ের স্বপ্ন ভেঙেছে রবের্তো মানচিনির শিষ্যদের কাছে।

লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে রোববার রাতের ফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ থাকে ইংল্যান্ড-ইতালির। পরে টাইব্রেকারে ৩-২ ব্যবধানে জিতে শিরোপা নিয়ে ফেরে আজ্জুরিরা।

শুট আউটে ইতালির ডমেনিকো বেরারদি ও ইংল্যান্ডের হ্যারি কেন নিজ দলের প্রথম শটে গোল আনেন। ইংলিশদের দ্বিতীয় শটে গোল করেন হ্যারি ম্যাগুইরে। কিন্তু ইতালিয়ানদের দ্বিতীয় শটে আন্দ্রেয়া বেলোত্তির সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড।

ইংল্যান্ড পরে তিন শটের একটিও প্রতিপক্ষ জালে পাঠাতে পারেনি। মার্কাস র‌্যাশফোর্ড বল লাগান পোস্টে। বাকি দুজন, জ্যাডন স্যাঞ্চো ও বুকায়ো সাকার শটে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোন্নারুমা।

বিপরীতে ইতালির তৃতীয় ও চতুর্থ শটে গোল করেন লিওনার্দো বোনুচ্চি ও ফেদেরিকো বেমারদেস্কি। আর তাদের শেষ শটে জর্জিনহোর কিক আটকে দেন পিকফোর্ড। কিন্তু আজ্জুরিদের শিরোপা উল্লাস থামানোর জন্য সেটি যথেষ্ট ছিল না, যখন ইংলিশদের শেষ শটটি সাকা জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন।

যদিও ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই লিড এনেছিল ইংল্যান্ড। কিয়েরান ট্রিপিয়েরের বাড়ানো বলে গোল আনেন লুক শ। যা ইউরোর ফাইনাল ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে গোলের রেকর্ড গড়েছে।

সেই গোল শোধ দিতে ম্যাচের ৬৭ মিনিট কেটে যায় ইতালির। তখন কর্নার থেকে আসা বলে মার্কো ভেরাত্তির হেড ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন পিকফোর্ড, কিন্তু বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ওঁত পেতে থাকা বোনুচ্চি ফিরতি শটে জাল খুঁজে নেন।

নির্ধারিত সময়ের পরের অংশে আর গোল আনতে পারেনি কোনো দলই। গোল আনতে পারেনি অতিরিক্ত সময়েও। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে জিতে টানা ৩৪ ম্যাচে অপরাজিত থাকল দ্বিতীয়বার ইউরোর ট্রফি উঁচিয়ে ধরা ইতালি।