৬৪ মিনিট আগের আপডেট; রাত ১:১৪; শুক্রবার ; ২৯ মার্চ ২০২৪

রামু অফিসেরচরের দুর্ভোগ জলাবদ্ধতা নিরসন করা হবে : এমপি কমল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রামু ২৫ জুলাই ২০২১, ২২:১৫

রামু উপজেলার প্রাচীন জনপদ অফিসেরচর এলাকার সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছেন সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি।রবিবার (২৫ জুলাই) বিকালে রামু অফিসের চরের দূর্ভোগ এলাকায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তিনি।

জলাবদ্ধতা সৃষ্টির কারণ পর্যবেক্ষণ শেষে এ সমস্যা দূরীকরণের জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি।

কক্সবাজার-৩ আসনের সাংসদ আলহাজ¦ সাইমুম সরওয়ার কমল রামুর অফিসের চরের দূর্ভোগ জলাবদ্ধতা পরিদর্শন কালে আরও উপস্থিত ছিলেন, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো, সাংবাদিক খালেদ শহীদসহ অফিসেরচর এলাকার স্থানীয় জনতা।

এ সময় স্থানীয়রা সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমলকে বলেন, ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা সড়ক সম্প্রসারণের কারণে, অফিসের চর এলাকায় সড়কের পাশের শতবছরের পানি চলাচল পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পানি চলাচল পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, গত দেড় মাস যাবত অফিসের চর এলাকার অর্ধশত বসতবাড়ি পানি বন্দি হয়ে আছে।

জলাবদ্ধতা সৃষ্ট হওয়ায়, চরমদূর্ভোগে পড়েছে রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের বৃহত্তর অফিসের চর, সিকদার পাড়া, চরপাড়া, জুলেখার পাড়া সহ সড়কের পাশের বাসিন্দারা। ভারী বর্ষনে জলাবদ্ধতার দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। এই জলাবদ্ধতার কারণে দূষিত ময়লা পানি দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে এলাকার বাসিন্দরা স্বাস্থ্যে বিপর্যয়ের আশংকা করছেন। হুমকীর মুখে পড়েছে এলাকার প্রধান অর্থকরী ফসল বসতবাড়ির চারপাশের সুপারী গাছ গুলোও।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. হাবিব উল্লাহ, সালাহ উদ্দিন, মো. ইয়াহিয়া, সাইফুল হাসান জানান, প্রশাসন বা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে জরুরী উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু গত দেড় মাসেও প্রয়োজনীয় কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বর্তমানে অফিসেরচর এলাকায় পানি সরে যাওয়ার কোনো পথই খোলা নেই।

আক্ষেপের কথা বলেন, অফিসের চরের বাসিন্দা সোহেল রানা, জাহেদুল হক, মাসুদ রানা, এইচ এম মোমেনও। তারা জানান, বসতবাড়ির আঙ্গিনায় টানা জলাবদ্ধতার কারণে পানির রং কালো হয়ে গেছে। পানির মধ্যে নানা ধরনের ময়লা ও অনেক ধরনের পোকা দেখা যাচ্ছে। বাড়ির আঙ্গিনায় জমে থাকা পানি দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এখন। ডেঙ্গু মশার উৎপাত হওয়ারও আশংকা করা হচ্ছে।

বসতবাগানের সুপারী গাছগুলোও হুমকীর মুখে পড়েছে। বেশীদিন পানি জমে থাকলে, সুপারী গাছগুলোও মরে যাবে। বৃষ্টি হলেই ভোগান্তি বেড়ে যায়। চেয়ারম্যান-মেম্বাররা শুধু আশ্বাস দিয়েছেন, কাজের কাজ কিছুই হয়েনি। এই জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে দ্রুত নিষ্কৃতি পাওয়ার দাবি জানান তারা।

আলহাজ¦ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি এ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বলেন, রবিবার বিকালে অফিসের চর এলাকায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছে, অফিসের চর, সিকদার পাড়া ও চর পাড়ার এলাকার সড়কের পাশের দীর্ঘ বছর ধরে বর্ষা মৌসুমের পানি চলাচল পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সড়ক সম্প্রসারণের ফলে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, দিনের পর দিন জলাবদ্ধতার কারণে দুষিত হয়ে পড়বে আটকে থাকা পানি। পানিগুলো দূর্গন্ধ ছড়াবে। জমে থাকা পানিগুলো কিভাবে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সড়ক সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে, পরবর্তীতে সড়কের পাশে স্থায়ী ড্রেনেজ ব্যবস্থা উদ্যোগ নেয়া হবে।