১০০১ মিনিট আগের আপডেট; দিন ১১:২৫; শুক্রবার ; ২৮ মার্চ ২০২৪

চকরিয়া-পেকুয়ায় শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন পালনে এমপি জাফর আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক ১৮ অক্টোবর ২০২১, ২৩:১৩

চকরিয়া ও পেকুয়ায় ব্যাপক কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ট শিশু পুত্র শহীদ শেখ রাসেল এর জন্মদিন পালিত হয়েছে। প্রথমবারের মতো জাতীয় শেখ রাসেল দিবস-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত নানা কর্মসূচীর মধ্যে ছিল শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, কেক কাটা, শিশুতোষ বই বিতরণ, আর্থিক চেক বিতরণ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা।

শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে আয়োজিত এসব কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এমএ।

সোমবার সকালে পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হলরুমে আয়োজিত নানা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পেকুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মিনু, পেকুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসিফ আল জিনাত, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, টৈটং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছৈয়দ নূর, পেকুয়া থানা পুলিশের প্রতিনিধি, সরকারি, বেসরকারী দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তা এবং আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অপরদিকে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাহাত উজ-জামানের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন মোহনায় অনুষ্ঠিত শেখ রাসেল দিবসের আলোচনা সভা, শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, কেক কাটা, উপহার ও টাকার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী ও মকছুদুল হক চুট্টু, চকরিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারি পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম, থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জুয়েল ইসলাম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা জাহানসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য জাফর আলম এমএ বলেন, ‘অনেক দুঃখ-ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বাঙালি জাতি আজ শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন করছেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যাকাণ্ডের সময় ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলকেও ঘাতকের বুলেট বাঁচতে দেয়নি। তিনি যদি আজ বেঁচে থাকতেন, তাহলে তিনিও বাংলাদেশের মানুষের কাছে একজন মেধাবী, দূরদর্শীসম্পন্ন নেতা হিসেবে ঠাঁই করে নিতে। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী চক্র পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে সেইদিন তাকেও শহীদ হতে হয়েছে।’

এমপি জাফর আলম আরো বলেন, ‘পঁচাত্তরে সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ইতিহাস পুরোপুরি বিকৃত করে ফেলা হয়েছিল। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র মনে করেছিল এই দেশে বঙ্গবন্ধুর কোন উত্তরসূরী আর রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে পারবে না। কিন্তু তাদের সেই আকাঙ্খা পূরণ হয়নি। বর্তমান প্রজন্ম প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারছেন।

আগামীতে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতচক্র যাতে এই দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে না পারে সেজন্য আমাদেরকে সজাগ ও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। কেননা স্বাধীনতাবিরোধী চক্র নতুন করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

সেই পরাজিত শক্তি পাকিস্তানের দোসর বিএনপি-জামায়াত আবারো মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা আবারো সাম্প্রদায়িক হামলা চালানোর মধ্য দিয়ে হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের ঐতিহ্য নষ্ট করে বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে।

এমপি জাফর আলম বলেন, ‘আমি কঠোরভাবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে বলে দিতে চাই, চকরিয়া ও পেকুয়ায় এই ধরণের কোন কিছুর চেষ্টা করা হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের শিকড় উপড়ে ফেলা হবে।’