ভারতের বিহার রাজ্যের ৮৪ বছর বয়সী বৃদ্ধ ব্রহ্মদেও মণ্ডলের ইচ্ছা ছিল যত বেশি সম্ভব টিকা নেওয়া। এ জন্য তিনি পরিচয়পত্র, মোবাইল নম্বর প্রভৃতি ব্যবহার করে ১১ বার করোনার টিকা নিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু তাতেও সাধ মেটেনি। আবারও টিকা নিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। বিহার রাজ্যের মাধেপুরা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
ভারতের দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার বরাতে ব্রিটিশ দৈনিক ইনডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রহ্মদেও মণ্ডল মাধেপুরার ওরাই গ্রামের বাসিন্দা। ৪ জানুয়ারি টিকা নিতে একটি কেন্দ্রে হাজির হয়েছিলেন। সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁকে ধরে ফেলেন।
ব্রহ্মদেও বলেন, সরকার দারুণ একটি জিনিস বানিয়েছে। তাঁর ইচ্ছা অনেক টিকা নেবেন।
ভারত সরকার এখন পর্যন্ত দুই ডোজ টিকা দিচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যকর্মী ও সম্মুখসারির করোনাযোদ্ধাদের ১০ জানুয়ারি থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হবে।
ব্রহ্মদেও মণ্ডল ডাক বিভাগের সাবেক কর্মী। তিনি স্বীকার করেছেন, বিভিন্ন তারিখে বেশ কয়েকটি টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিয়েছেন তিনি। ২০২১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পুরাইনি পিএইচসি কেন্দ্রে তিনি করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেন। এরপর ১৩ মার্চ একই কেন্দ্রে পরবর্তী ডোজ নেন। নিজের আধার কার্ড ও মোবাইল নম্বর আটবার ব্যবহার করেছেন তিনি। এ ছাড়া স্ত্রীর মোবাইল নম্বর ও নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখিয়ে টিকা নিয়েছেন তিনি।
ঘটনাটি এমন একসময়ে ঘটেছে যখন ভারতে পুরো জনগণকে টিকা দেওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে। প্রথম ডোজ টিকা পাওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় রয়েছেন দেশটির অনেক মানুষ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছিলেন, গত বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই তাঁর সরকার ১৩০ কোটি টিকা দেবে। কিন্তু সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশটির ৮৯ দশমিক ৪ শতাংশ প্রথম ডোজ ও ৬৪ দশমিক ২ শতাংশ দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন।