আমার কক্সবাজার ডেস্ক ২০ জানুয়ারী ২০২৩, ২০:০৪
ব্রহ্মপুত্র নদকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী চীনের বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়ায় অরুণাচলে আটকে থাকা প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করতে চাইছে নয়াদিল্লী।
ভারত সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এ খবর দিয়েছে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ পত্রিকা। উত্তর-পূর্ব ভারতের এ রাজ্যটির সীমানা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছে।
‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের সম্ভাব্য ‘পানি যুদ্ধের’ প্রতিক্রিয়ায় ভারত প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে অরুণাচলে জলবিদ্যুত্সহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে চাচ্ছে।
ভারত সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, অরুণাচলের আপার সুবানসিরি জেলায় চীনের সীমান্তের কাছে দেশের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে যাচ্ছে নয়াদিল্লি। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা হবে ১১ হাজার মেগাওয়াট। এদিকে, লোয়ার সুবানসিরি জেলায় দুই হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ প্রকল্প এ বছরের মাঝামাঝিতে শেষ হবে।
ভারতে বিদ্যুৎকেন্দ্রসংশ্লিষ্ট একটি মূল্যায়ন কমিটি এবং বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর মোট তিনটি প্রকল্পের কাজ এগিয়ে যাবে। এগুলো দেশের জাতীয় জলবিদ্যুৎ করপোরেশনের (এনএইচপিসি) সম্ভাব্য বরাদ্দের অপেক্ষায় রয়েছে।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ব্রহ্মপুত্র নদের উজানে ইয়ারলং জাংবো এলাকায় ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য বাঁধ নির্মাণ করছে চীন। এটি অরুণাচলের মেদং এলাকার কাছে অবস্থিত। মূলত, এর প্রতিক্রিয়াতেই ভারত তার অংশে বিভিন্ন প্রকল্পের দিকে মনোযোগ দিয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র নদ ভারতের ৩০ শতাংশ স্বাদু পানির উৎস। এ ছাড়া এ নদকে কেন্দ্র করে ভারতের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সম্ভাবনা প্রায় ৪০ শতাংশ। কিন্তু এ নদের অর্ধেক অববাহিকা হচ্ছে চীনের ভূখণ্ডে।
ভারতীয় সূত্রগুলো বলছে, উত্তর-পূর্ব ভারতের এসব প্রকল্প কোনও আঞ্চলিক বিষয় নয়, বরং জাতীয় ইস্যু।
ভারতের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘ভবিষ্যতে চীনের সম্ভাব্য পরিকল্পনাকে রুখতে ভারতের আলাদা পদক্ষেপ থাকা প্রয়োজন। সেই কারণেই অরুণাচলে সরকার তার প্রকল্পগুলো শেষ করায় গতি আনছে।’
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, চীন যে এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করছে তা শুধু অরুণাচলের জন্য ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি করবে না, বরং এটি আসাম রাজ্যেও বড় প্রভাব তৈরি করতে পারে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া