৩২১ মিনিট আগের আপডেট; দিন ৩:১৭; রবিবার ; ০৩ জুন ২০২৩

কুতুপালং থেকে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের দাবিতে মানববন্ধন

প্রতিনিধি, উখিয়া (কক্সবাজার) ১৯ মার্চ ২০২৩, ১৮:৩০

উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া থেকে রোহিঙ্গাদের অবিলম্বে স্থানান্তরের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

শনিবার (১৮ মার্চ) কুতুপালং বাজারে মানববন্ধন পরবর্তী বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।

মানববন্ধনে কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অন্যত্র স্থানান্তর, স্থানীয় বাসিন্দাদের অবাধে চলাচলের সুযোগ, জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা, স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, ছাত্রছাত্রীদের অবাধে যাওয়া-আসার ব্যবস্থা করা, টমটম, সিএনজি চলাচলের সুযোগ দান ও চাষের জমিতে ক্যাম্প থেকে আসা বর্জ্য অপসারণের দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গাদের আমরা মানবতার খাতিরে আমাদের জায়গায় স্থান দিয়েছি। কিন্তু এখন এমন এক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যেখানে নিজেদের অধিকার হারাচ্ছি। রোহিঙ্গারা সকাল-সন্ধ্যা অবাধে বের হচ্ছে-ঢুকছে, ছড়িয়ে পড়ছে সারাদেশে। কিন্তু এদের জন্য কোন আইন বা জবাবদিহিতা নেই। সমস্যা শুধু স্থানীয়দের জন্য। আমরা মৃত্যু পথযাত্রী নিয়েও ক্যাম্প এলাকা থেকে যেতে পারছি না। পাচ্ছি না চিকিৎসা সেবা। আমাদের এলাকায় কোনো মেহমান আসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। উপযুক্ত ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিতে পারছি না। কারণ মেয়ে দেখার জন্য কেউ আসতে চাইলে কাঁটাতারের ভিতরে গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হয় না। সেজন্য আমাদের মেয়েদের বিয়ে দিতে ও ছেলেদের জন্য বউ আনতে পারছি না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতেও নানা সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। এখন আমরা খুব কষ্টে আছি।

আমরা অবিলম্বে লম্বাশিয়া এলাকায় বসবাসরত রোহিঙ্গাদের অন্যত্র স্থানান্তরের জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি করজোড়ে আবেদন করছি। বক্তারা আরও বলেন, পরাধীনতায় নয়, মৌলিক অধিকার নিয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচতে চায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদেরকে স্থান দিয়ে নানা সমস্যায় জর্জরিত স্থানীয় বাসিন্দারা। কাঁটা তারের ভেতরে মানবেতর জীবনযাপন করছে প্রায় ৮শ স্থানীয় বাসিন্দা।

যারা নিজ জন্মভূমিতে পরাধীনতার ভার নিয়ে বসবাস করতে করতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। হারাচ্ছে তাদের মৌলিক অধিকার। কাঁটা তারের ভেতরে বসবাসরত স্থানীয় জনগোষ্ঠী এমন এক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যেখানে রোহিঙ্গারা সব সুযোগ সুবিধা পেলেও তারা বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।