এম গোলাম রহমান পেকুয়া ১৯ মার্চ ২০২৩, ২১:৩৮
পেকুয়া উপজেলার সবক'টি সড়ক-মহাসড়ক কাদামাটি ও লবনপানিতে সয়লাব। একটু কুয়াশা বা বৃষ্টি হলেই বিপদজনক হয়ে উঠে সড়ক গুলো। একের পর এক দূর্ঘটনার সৃষ্টি হয় প্রতিনিয়ত। হতাহতের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
১৯ মার্চ রবিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা মেলে এ দৃশ্য। গ্রামীন সড়কে যানচলাচল এক প্রকার বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারন মানুষ। সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলে সড়কের ওপর ঝরে পড়া মাটি ভিজে পিচ্চিল কাদায় পরিনত হয়।
কয়েকটি সড়কে ঘুরে দেখা গেছে,পিচঢালাই সড়কের ওপর ২থেকে ৩ইঞ্চি কাঁদা জমা পড়েছে। পিচ্চিল কাঁদায় যানবাহন এক প্রকার বন্ধ রয়েছে। মোটরসাইকেল আরোহী মোস্তাকিম বলেন, ফসলি জমি থেকে টপ সয়েল লুট হয়েছে গত তিন মাস ধরে।
সড়কে বীরদর্পে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে মাটি ভর্তি ডাম্পার, পিকআপ। গাড়ি থেকে ঝরে পড়া মাটি বৃষ্টির পানিতে ভিজে কাঁদায় পরিনত হয়েছে। চোখের সামনে অন্তত ৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরেক মোটরসাইকেল আরোহী বলেন,রাজাখালীতে প্রতিটি গ্রামীন পিচঢালা সড়কের ওপর কাঁদার রাজত্ব চলছে। চোখের সামনে একটি মোটরসাইকেল উল্টে দুইজন আরোহী আহত হয়েছে। শুনেছি আরো দুর্ঘটনা ঘটে অনেকে আহত হয়েছেন। সড়কে গাড়ি চালানো যাচ্ছেনা। অনেকে গাড়ি থেকে নেমে টেনে নিয়ে যাচ্ছে গাড়ি।
সড়কের ওপর এসব মাটি ফসলি জমি থেকে লুট হওয়া ঝরেপড়া মাটি। অটোরিক্সা চালক ইসমাঈল বলেন, বসে রয়েছি। রিস্ক নিতে চাইনা। সড়কের যে অবস্থা তাতে গাড়ি চলা সম্ভব নয়। সড়কের ওপর যেভাবে মাটি পড়ে আছে দেখলে মনে হয় মাটির রাস্তা এটা পিচ ডালা রোড নয়। জমির মাটি রাস্তা শেষ করে দিয়েছে। সড়ক পিচ্চিল হয়ে গেছে।
আবদুল মোনাফ, রুজিনা আক্তার,কায়সারসহ কয়েকজন যাত্রী বলেন, অনেক্ষন ধরে বসে আছি কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য। গাড়ি যাচ্ছেনা। সড়কে পায়ে হেঁটে যাওয়াও দুস্কর। জমির উপুরি অংশ (টপসয়েল) সড়কের বারোটা বাজাইছে।
স্থানীয়রা জানায়,গত তিন মাস ধরে উপজেলার ৭ ইউনিয়নে চলছে ফসলি জমির টপ সয়েল লুটের মহোৎসব। একটি মাটিখেকো সিন্ডিকেট মাটি লুটে মেতেছে। অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন কাজে মাটির প্রয়োজন। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মাটিখেকোরা জমির টপ সয়েল বিক্রি করে পকেটভারী করছে। তাদের কারনে আজকে সড়কের এ অবস্থা।