নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার ০৪ মে ২০২৩, ১৯:০৭
কক্সবাজারের রামুর চাকমারকুলে মহাসড়কে প্রকাশ্যে ব্যারিকেড দিয়ে গরুর গাড়ি গতিরোধ করে দুই ব্যবসায়ীকে বিপুল টাকা লুট ও মাধরের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের দাবি, দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি ও অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
তারমধ্যে চকরিয়ার গুরু ব্যবসায়ী সালা উদ্দিনের কাছ থেকে সাড়ে ১৭ লাখ এবং আবদুল কাদের নামের আরেকজনের ১লাখ ৮০ হাজার টাকা দুবৃর্ত্তরা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
বুধবার (৩ মে) রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চাকমারকুলের ডেইঙ্গাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় গরুভর্তি গাড়িটাও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ীরা হলেন, চকরিয়া পৌরসভার এলাকার মৃত জাকের আহাম্মদের ছেলে সালা উদ্দিন এবং কুমিল্লাহর দেবিদ্বার উপজেলার বাসিন্দা আবদুল কাদের ছেলে হাশম।
গরু ব্যবসায়ী আহত সালা উদ্দিন জানান, তিনি ২০ লাখ টাকা নিয়ে খরুলিয়া বাজারে এসেছিলেন গরু কিনতে। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় ৪ টির বেশি গরু কিনতে পারেননি। এ কারণে বাকি সাড়ে ১৭ লাখ টাকাসহ গরু গাড়িতে করে চকরিয়া ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি। কিছু দূর যাওয়ার পর রাত ৮ টার দিকে ঝিলংজা-চাকমারকুলের সীমান্ত ডেইঙ্গা পাড়া রাস্তারমাথায় কয়েকটি (ডাম্পার) মিনি ট্রাক দিয়ে তাদের গাড়ি ব্যারিকেট দিয়ে অস্ত্রেরমুখে লাথি ঘুসি মরে টাকার ব্যাগ কেড়ে নেয়া হয় লোকজন। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
একই গাড়িতে ছিলেন আরেক গরু ব্যবসায়ী আবদুল কাদের। তিনিও দাবী করেন তাকে মারধরের পাশাপাশি ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমার সাথে করো বিরোধ নেই হঠাৎ কেন এমন হলো জানি না। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
ভুক্তভোগী ওই দুই ব্যবসায়ী জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে এসব দুষ্কৃতিকারীদের চিহিত করেছেন তারা।
তাদের দাবি মতে ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা হলেন, পশ্চিশ চাকমারকুর ডেইঙ্গাপাড়া এলাকার মৃত মৃত কবির আহাম্মদ মেম্বারের ছয় ছেলে জহির উদ্দিন (৪৫), আলমগীর (৩২), ভাই সাহাব উদ্দিন (৩৫), শাহনেওয়াজ (২৫), জসিম উদ্দিন (৫৫) সাদ্দাম হোসাইন (২৮), একই এলাকার রফিক আহাম্মদের ছেলে এবাদুল্লাহ (৩০), ছলিম উল্লাহ (৪০), পূর্ব খরুলিয়া ডেইঙ্গা পাড়া এলাকার সিকান্দার আলী ছেলে এরশাদ উল্লাহ (৩২), মুন্না ২০।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক বাসিন্দারা জানান, ছিনতাইকারীরা এলাকায় প্রচণ্ড প্রতাপশালী। তাদের ভয়ে আমরা নাম বলতে পারছি না। তবে, এলাকায় তাদের কারণে নানা অপরাধ সংগঠিত হলেও তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাচ্ছেনা।
তবে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন বলছে ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ডাকাতির কোন ঘটনা ঘটেনি। তার আগেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায় দাবি করে ওসি বলেন, খরুলিয়া বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কের জেরে রাস্তা মাঝখান থেকে গরু কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।