১৪৯ মিনিট আগের আপডেট; রাত ৬:০৭; বৃহস্পতিবার ; ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান ও ডুলাহাজারায় বনভূমিতে স্থাপনা নির্মাণ

জিয়াউল হক জিয়া ৩১ মে ২০২৩, ২০:০০

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানের শতবর্ষী মাদারট্রি গর্জন গাছের চারপাশের মাটি সরিয়ে পাঁকা স্থাপনা নির্মাণ ও ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের ডুলাহাজারা বনবিটের ডুমখালীস্হ মিঠাছড়িতে সংরতি বনভূমিতে পাঁকা দালান ঘর নির্মাণে হচ্ছে কোন ধরণের বাঁধা ছাড়াই। 

খবর পেয়ে সত্যতা যাচাই-বাচাই করতে গেলে দেখা যায়-মাদারট্রি গর্জন গাছের চারপাশের মাটি কেটে সরিয়ে ফেলে মার্কেট নির্মাণের উদ্দেশ্যে পাঁকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ করেছেন খুটাখালী ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের মৃত গুরা মিয়া ছেলে বাদশা মিয়া।

তার কাছে জানতে চাইলে দাবি করেন- আমার দাদার আমল থেকেই  বনবিভাগের সাথে তাদের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। সেই সুবাদে মেদাকচ্ছপিয়া বনবিট থেকে অনুমতি নিয়েই পাঁকা স্থাপনা নির্মাণ করছি। তাই কেউ বাঁধা দিতে আসেনি।

বাদশার পাঁকা স্থাপনা নির্মাণের কথা সংশ্লিষ্ট বিটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলাউদ্দিনকে জানাতে একাধিক বার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।

পরে এফজি অমিত চাকমাকে জানালে তিনি মঙ্গলবার সকালে গিয়ে বাদশার নির্মাণাধীন স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেন। এই কারণে  ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দেন বাদশা। এর পর হুমকির বিষয়টি ফুলছড়ির এসিএফ শীতল পালকেও অবহিত করেন সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক।

এদিকে অনুরুপভাবে ডুলাহাজারা বনবিটের মিঠাছড়ির বেলাল উদ্দিনও পাঁকা দালান নির্মাণ করেই চলছে। বনভুমিতে পাঁকা দালান নির্মানে কোন বাঁধা নেই নাকি বলে প্রশ্ন তুলে সচেতন মহল। 

ডুলাহাজারা বিট কর্মকর্তা অবনি কুমার বলেন- আমি ছুটি নিয়ে বাড়ীতে আসছি। অফিস গিয়েই স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেদাকচ্ছপিয়া বিটের এফজি অমিত চাকমা বলেন-খবর পেয়ে আমি স্থাপনাটি গুঁড়িয়ে দিয়েছি। এই ঘটনায় দখলবাজের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হবে বনবিভাগের পক্ষ থেকে।