৯৮ মিনিট আগের আপডেট; দিন ১২:৫৭; শুক্রবার ; ১৮ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় পরিবেশ সুরক্ষা'র মানববন্ধন

এম গোলাম রহমান পেকুয়া ০১ জুন ২০২৩, ২২:২১

পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে পেকুয়ার রাজাখালী মৌজার উত্থিত চরাঞ্চল অধিগ্রহণ বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন-বাপসা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন-বাপসা দেশব্যাপী সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষায় কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের এই মানববন্ধন।

সম্প্রতি কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী মৌজার ফাতেমা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন জেগে উঠা যে চরে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা, একটি শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ, সামাজিক বনায়নের বাগান, মাদ্রাসা ও কবরস্থানের সংস্থান হবে। এজন্য বাপসা'র পেকুয়া শাখা ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এ এলাকায় সবুজ প্রতিরক্ষা দেয়াল সৃজনের লক্ষ্যে সামাজিক উদ্যোগে বনায়নে সহায়তা করবে বলে চিহ্নিত করেছে। এদিকে ওই জমি সরকার অধিগ্রহণ করে ভিন্ন কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এমতাবস্থায়, চরটি অধিগ্রহণ না করে এলাকার সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষার সবুজ বেষ্টনীসহ শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ, মাদ্রাসা ও এলাকার কবরস্থান প্রতিষ্ঠার পথকে সুগম করতে মানববন্ধনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি তুলে ধরেন ।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন-বাপসা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এম. এ. হাশেম রাজু। এসনয় উপস্থিত ছিলেন বাপসা'র মোঃ ওসমান সরওয়ার খাঁ, মোঃ শওকত নূর ও মোঃ সাহাব উদ্দীনসহ নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধনের শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা না থাকায় লিখিত আবেদন ও স্মারকলিপি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামের নিকট প্রদান করেন।

অভিযোগ ও স্মারকলিপি সূত্রে জানাযায়, রাজাখালী ফাতেমা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর খতিয়ান নং-৪, মৌজা:- রাজাখালী, দিয়ারা দাগ নং-১৬৯১২, বিএস দাগ-১০৯৩৩, ১০৯৩৪, ১০৯৩৫, খতিয়ান নং-১৮১, মৌজা- রাজাখালী, খতিয়ান নং-১৩১৬, দিয়ারা দাগ নাং- ১৬৯০৩, ১৬৯০২, মৌজা:-রাজাখালী। খতিয়ান নং-১৮০, দিয়ারা দাগ নং- ১০৯০৭, মৌজা:- রাজাখালী ।

উল্লেখিত জায়গার প্রকৃত মালিক মরহুম আলী নেওয়াজ খান, মরহুম সোলাইমান খান, মরহুম মোহাম্মদ হোসাইন খান, মরহুম মোহাম্মদ সফরাজ খানের পিতা জেমারত খাঁন উল্লেখিত জায়গার সামনে চর উঠার পর থেকে স্কুলের খেলাধুলার মাঠ হিসাবে ছেলেমেয়েরা ব্যবহার করে আসছেন। চর এলাকায় এবতাদিয়া মাদ্রাসা ও কবরস্থান করার জন্য এলাকাবাসী সর্বসম্মতক্রমে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। এর মধ্যে উপরোক্ত মৌজার আশেপাশের চর উঠা জায়গা সরকার অধিগ্রহণ করার পরিকল্পনা করেছেন।

এলাকায় কবরস্থান, মসজিদ, মাদ্রাসা, খেলার মাঠের এর স্বল্পতা থাকায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা প্রতিটি স্কুলে খেলাধুলার মাঠ রাখার বিষয়টি বিবেচনা করে উপরোক্ত জায়গা অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য এলাকাবাসী আবেদন জানিয়েছন।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, জায়গাটি প্রাথমিকভাবে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষে কতৃপক্ষ কাজ সম্পাদনের জন্য মাটিকাটা শুরু করি। এরপরে এলাকাবাসী গণকবর ও বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের খেলার মাট অভিযোগ এনে বাঁধা দেয়। বিষয়টি এলাকাবাসী কাজ শুরু করার আগে অবগত করেনি।