কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদীর মায়ের নামীয় জায়গায় গাড়ির গ্যারেজ নির্মাণের সময় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রশস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত করা হয় চারজনকে। তন্মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। 

এই ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যানের জমির তদারক আহত ওলা মিয়া বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ ১০ জনকে আসামী করে থানায় এজাহার জমা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে পৌরসভার হালকাকারা জনতা মার্কেট সড়ক লাগোয়া নিজ বাড়ির নিকটে এই হামলার ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। 

হামলায় আহতরা হলেন- উপজেলা চেয়ারম্যানের জায়গার তদারক (কেয়ারটেকার) ওলামিয়া (৪০), দেলোয়ার হোসেন (৪০), তৌহিদুল ইসলাম (২৮), হেলাল উদ্দিন (২৬)। এছাড়াও রাজমেস্ত্রী ওপর আক্রমণ করা হয়। 

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদীর অভিযোগ- তাঁর মায়ের নামীয় শত বছরের ভোগ-দখলীয় একটি পরিত্যক্ত জায়গা ভরাটসহ সীমানা দেওয়াল দেওয়া হয়। এর অভ্যন্তরে গাড়ির গ্যারেজ নির্মাণের কাজ চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করে জনতা মার্কেট এলাকার জনৈক জাফর আলম সদলবলে এতে সেই জায়গা দখল করতে চায়। এ সময় মোটা অংকের টাকাও দাবি করে তারা। এ সময় হামলায় চারজন আহত হয়।

চেয়ারম্যান বলেন- যার নেতৃত্বে এই হামলা করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণসহ নানা অপরাধের দায়ে অসংখ্য মামলা রয়েছে। 

চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাড়িতে সংঘটিত ঘটনায় লিখিত এজাহার পাওয়া গেছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।’