২৮০ মিনিট আগের আপডেট; দিন ১:২৯; শনিবার ; ১৯ এপ্রিল ২০২৪

জাতিসংঘে কাশ্মীর ইস্যু তুলল চীন, ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ভারতের

অনলাইন ডেস্ক: ১৬ জানুয়ারী ২০২০, ২২:০৬

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানের হয়ে জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তার বিষয়টি চীন উত্থাপন করেছে বলে দাবি করছে ভারত।এনিয়ে পাকিস্তানের সমালোচনা করে দিল্লির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য চীনকে দিয়ে জাতিসংঘে জম্মু-কাশ্মীর ইস্যু তুলেছে পাকিস্তান।

বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেছেন, চীনকে দিয়ে ওই চেষ্টা চালিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের অপব্যবহার করেছে ইসলামাবাদ। আর কাশ্মীর ইস্যু তুলতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হল, চীনও তার থেকে শিক্ষা নিক। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে তৃতীয়বারের মতো কাশ্মীর ইস্যু তোলার চেষ্টা করেছে চীন। কিন্তু আলোচনা শুরু হতে না হতেই নিরাপত্তা পরিষদের অন্য চার সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, এটা একেবারেই ভারত ও পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে না নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার আরও বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের বেশিরভাগ সদস্যই কাশ্মীর ইস্যুকে দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলেই মনে করেছেন। তার ফলে, পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি। নিরাপত্তা পরিষদে কোনো প্রস্তাব গৃহীত হতে হলে স্থায়ী পাঁচ দেশের সম্মতি প্রয়োজন হয়। কোনো একটি দেশ ভেটো দিলে প্রস্তাবটি গৃহীত হয় না।

পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা করে রবীশ বলেন, ভারতের সঙ্গে কোনো বিষয় তাদের আলোচনার মাধ্যমেই মেটাতে হবে, ইসলামাবাদকে এ কথা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। আর সেটা করতে হবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতেই।

আগস্ট থেকে এ নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর ইস্যু দ্বিতীয়বার তুলল চীন। গত ডিসেম্বরে আরো একবার চেষ্টা চালিয়েছিল চীন। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। রবীশ কুমার বলেন, ওরা (চীন) কেন বারবার ওদের (পাকিস্তান) হয়ে এই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে? আমি মনে করি, এবার ওরা (চীন) এ ব্যাপারে বিরত থাকবে।

পাকিস্তানের হয়ে কেন ওই ইস্যু তুলেছিল চীন? তার কারণ সম্পর্কে নিরাপত্তা পরিষদের বুধবারের বৈঠকের পর চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুন বলেন, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি লিখেছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।