২০১ মিনিট আগের আপডেট; রাত ৪:১৩; শনিবার ; ২০ এপ্রিল ২০২৪

রামুতে বনভোজনের বাস খাদে, আহত ৩০

শাহীন মাহমুদ রাসেল ১৮ জানুয়ারী ২০২০, ১৩:৫১

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বনভোজনের একটি বাস খাদে পড়ে ৩০ জন আহত হয়েছে। আজ (১৮ জানুয়ারি) শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে চাবাগান লম্বা ব্রীজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর পাওয়া গেছে। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বনভোজনে বহনকারী ৪৫ আসনের একটি বাস ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বাসটি রামু উপজেলার চাবাগান লম্বা ব্রীজ এলাকা অতিক্রম করার সময় ব্যাটারি চালিত অটো'কে সাইট দিতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ওই বাসে থাকা ৩০ জন আহত হয়। 

আহত ব্যক্তিরা হলেন, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের শাহাজাহানের ছেলে আবির, একই এলাকার নাছির উদ্দিনের ছেলে আতিক, আবুল বশরের ছেলে মোছাদ্দেক, সাতক্ষীরার নুরুল আমিনের ছেলে সোহান, বরগুনার আমতলী এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে জাহিদ ইসলাম, একই এলাকার মোতাহের হুসাইনের ছেলে জিয়াউল করিম, ঢাকার আলতাফের ছেলে নাজমুল হুসাইন, পটুয়াখালীর আব্দু শুক্কুরের ছেলে গফুর মিয়া, বরগুনার সদরের খলিলুল্লাহর ছেলে আল আমিন, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের রাফি উদ্দিনের ছেলে ইউনুচ, মোস্তফা গাজীর ছেলে তরিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমানের ছেলে আব্দুর রউফ, মশরফ হুসাইনের ছেলে আবু মুছা, আবু তৈয়ব সিকদারের ছেলে রাজিব, জাকিরের ছেলে মন্জুরুল হুসাইন সাকিব, আব্দু জব্বার মৃধার ছেলে মেহেদী হোসাইন, কবিরের ছেলে নয়ন, মোতাহের সিকদারের ছেলে নাঈম হুসাইন, আলতাফের ছেলে ফয়সাল, জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মোশারাফ হোসাইন, বাচ্চুর ছেলে সাইফুল বাপ্পি, জামালের ছেলে নিজাম, মোসাদ্দেকের ছেলে সাইফুল, আশরাফ আলীর ছেলে হাসিব, আব্দুল মান্নানের ছেলে সজল, জাকির হোসাইন খানের ছেলে নজরুল হক সাকিব, নাহিদের মেয়ে রহিমা, বেলাল হোসাইনের ছেলে মোহাম্মদ, শহিদুল ইসলামের ছেলে শফিক, কুমিল্লার সুলতান পুরের সুলতান আহম্মদের ছেলে মাহিম, যশোরের মশরফ হোসেনের ছেলে বকতিয়ার, ঢাকার নজরুল ইসলামের ছেলে জুয়েল, ঢাকার মির্জাপুরের আলতাফ হোসেনের ছেলে নোমান, শরীয়ত পুরের আসাদ আলীর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দীক, বরিশালের শহিদুল ইসলামের ছেলে মোনাফ হুসেন সাঈদ।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে কয়েকজনের অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় তাঁদের জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বনভোজনে আসা কামাল নামে একজন বলেন, অটোকে সাইট দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়। পাঁচজন বাদে বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার জন্য বনভোজনটি বাতিল করা হয়েছে।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খাইয়ের বলেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বনভোজনের একটি বাস খাদে পড়ে ৩০ জনের মতো আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে আল্লাহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বাঁচিয়েছেন। বাসটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।