৯৭৪ মিনিট আগের আপডেট; দিন ১০:৫৮; শুক্রবার ; ২৮ মার্চ ২০২৪

কুতুবদিয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় দুপক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত, আটক ৯

আমার কক্সবাজার ডেস্ক ২৮ মে ২০২০, ২২:৩০

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বিকাল ৪ টার দিকে উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের পেয়ারাকাটা গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম জাহাঙ্গীর আলম (৩৩)। তিনি ওই গ্রামের দরদ উল্লাহর ছেলে। এ সময় আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের আরো ৮ জন। আহতদের কুতুবদিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নারীসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

কয়েকটি সূত্রে খবর খবর পাওয়া যায়, পেয়ারাকাটা এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে সায়েম (১৮), ছাবের আহমদের ছেলে জুয়েল (২৫), নুর হোছাইনের ছেলে জাফর আলম (১৮) ও আবু বকরের ছেলে এরশাদুল করিম রিপনসহ (২৮) আরও ৭-৮ জন যু্বক লেমশীখালী আবুল্লার দোকান থেকে ফুটবল খেলার কথা বলে একটি টেম্পু ভাড়া করে দ্বীপের পশ্চিমে অবস্থিত সৈকতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

কিছুদূর এসে পর মনি মাঝির দোকানের সামনে সবাই নেমে যায়। এ সময় পূর্বের তুচ্ছ কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক দোকানদারের সাথে কথা কাটাকাটি হয় তাদের। খবর পেয়ে ওই দোকানদারের ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে উভয় পক্ষের আরো অনেকেই জড়ো হতে থাকে সেখানে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের কথাকাটাকাটি সংঘর্ষে রূপ নেয়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন জাহাঙ্গীর আলম।

তাদের বহনকারী টেম্পু গাড়ির চালক জসিম উদ্দিন (১৮) বলেন, ‌‘মনি মাঝির দোকানের সামনে নামার পরপরই দোকানদারের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা।’ উভয়পক্ষের মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, পূর্বের একটি ‍তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।

আহতরা হলেন রুহুল কাদেরের ছেলে মামুনুর রশিদ (২২), মৃত মোহাম্মদ উল্লাহর ছেলে দরুদ উল্লাহ ও তার ছেলে সালামত উল্লাহ এবং সালামত উল্লাহর ছেলে মনজুর আলম, রেজাউল করিমের ছেলে সায়েম (১৮), ছাবের আহমদের ছেলে জুয়েল (২৫), নুর হুছাইনের ছেলে জাফর আলম (১৮) ও আবু বকরের ছেলে এরশাদুল করিম রিপন (২৮)। আহতরা সবাই ওই ইউনিয়নের পেয়ারাকাটা এলাকার বাসিন্দা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্দদ দিদারুল ফেরদাউস বলেন, জড়িত সন্দেহে নারীসহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। কোন পক্ষ এখনও এজাহার জমা দেয়নি।