৯৫০ মিনিট আগের আপডেট; রাত ২:৫৮; বৃহস্পতিবার ; ২৭ মার্চ ২০২৪

এবার ‘হজ ব্যাগ’ দিচ্ছে সৌদি

অনলাইন ডেস্ক ২৮ জুলাই ২০২০, ১৪:০০

সৌদি আরবের ইতিহাসে এবারই প্রথম হাজিদের বিশেষ ‘হজ ব্যাগ ’ উপহার দিচ্ছে দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। করোনাভাইরাস মোকাবেলার সুরক্ষা সরঞ্জামসহ হাজিদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থাকবে ওই ব্যাগে। মহামারীর মধ্যেই সীমিত আকারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ বছরের পবিত্র হজ।

আগামী বুধবার বহুল কাঙ্ক্ষিত সেই দিনটিকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে এর জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তায় এবারের হজ আয়োজন করছে সৌদি আরব।

করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর সর্বোচ্চ ১০ হাজার লোকের অংশগ্রহণে হজ অনুষ্ঠিত হবে। গালফ নিউজ, এএফপি। খবরে বলা হয়, স্বাস্থ্য সতর্কতার অংশ হিসেবে প্রত্যেক হাজির জন্য একটি বিশেষ ব্যাগ সরবরাহ করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

ব্যাগটিতে ইহরামের পোশাক, প্রোটেক্টিভ ফেস মাস্ক, শেভিং সরঞ্জামাদি, প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি, মিনায় নিক্ষেপের জন্য পাথর বা কংকর, টুথপিক বা দাতের খিলান ও ইয়ারপ্লাগ বা কানের প্লাগ (শব্দ নিয়ন্ত্রক) থাকবে।

এছাড়া রয়েছে চোখের নিরাপত্তায় আই কাভার, একটি ছাতা, জায়নামাজ, নিউজপেপার, হ্যান্ড সেনিটাইজার ও একটি হজ গাইডবুক। হজের জন্য ইহরামের কাপড় বিশেষ জরুরি। সেলাইবিহীন দুই টুকরো কাপড়ও সরবরাহ করবে কর্তৃপক্ষ। হজে অংশগ্রহণকারীদের সুস্বাস্থ্য, সুস্থতা ও নিরাপত্তার জন্য এ ব্যবস্থা করেছে দেশটি।

সৌদি আরব এ বছর ১০ হাজার লোককে হজের অনুমতি দিয়েছে। তবে সৌদির বাইরে থেকে কোনো লোককে হজের অনুমতি দেয়া হয়নি। সৌদিতে অবস্থানকারী ১৬০ দেশের (শতকরা ৭০ ভাগ) নাগরিককে এবার হজে অংশগ্রহণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। স্থানীয়দের মধ্য থেকে ৩০ ভাগ লোক হজ করবে।

তবে সৌদির স্থানীয়দের মধ্যে দেশটির কোনো কর্মকর্তা এবারের হজে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তাছাড়া অনুমতি ছাড়াও কেউ হজে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

বিনা অনুমতিতে হজের রোকনের স্থানে অন্য কেউ প্রবেশ করলেই জরিমানা গুনতে হবে ১০ হাজার রিয়াল। সুস্বাস্থ্য, সুস্থতা ও নিরাপত্তার জন্য সৌদি আরব অনেক শর্তারোপ করেছে। ২০ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী লোকদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।

তবে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিবেচনায় ৬৫ বছরের বেশি কোনো লোককে হজের অনুমোদন দেয়া হয়নি। বুধবার (২৯ জুলাই) থেকে হজের কার্যক্রম শুরু হবে। এ দিন জোহরের আগেই হজে অংশগ্রহণকারীরা মিনায় উপস্থিত হবে। ৩০ জুলাই ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে ও মসজিদে নামিরায় উপস্থিত হয়ে হজ সম্পন্ন করবেন এবারের অংশগ্রহণকারীরা।

বর্তমানে আইসোলেশন ক্যাম্পে অবস্থান করছেন হাজিরা। তারপর হাজিদের বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেই মিনার উদ্দেশে রওনার অনুমতি দেয়া হবে। হজ শেষে প্রত্যেককেই বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।