৭১৮ মিনিট আগের আপডেট; দিন ৮:৪৭; শনিবার ; ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ফাউসির কথা শুনলে ৫ লাখ লোকের মৃত্যু হতো: ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক: ২০ অক্টোবর ২০২০, ১৩:৩২

করোনা মহামারীর কোনো সমাধান না দিয়ে বরং মার্কিন শীর্ষ বিজ্ঞানী ডা. অ্যান্থনি ফাউসির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য ছুড়ে নির্বাচনী প্রচারের শেষ খেলায় মেতে উঠেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ফাউসির কথা শুনলে যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ লাখ লোকের মৃত্যু হতো। 

এই চিকিৎসককে নিয়ে মশকরা করে তিনি বলেন, ফাউসি একটা বেকুব ও বিপর্যয়, যিনি ৫০০ বছর ধরে এখানে আছেন।সোমবার লাস ভেগাস থেকে নির্বাচনী প্রচার কর্মীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় এ বিজ্ঞানীকে নিয়ে নিজের হতাশা উগরে দেন ট্রাম্প। সিএনএন ও রয়টার্সের খবরে এমন তথ্য মিলেছে।

ট্রাম্প ও ফাউসি উভয়েই হোয়াইট হাউসের করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের সদস্য। কিন্তু করোনা মহামারী সবচেয়ে ভালোভাবে সামাল দেয়ার পদ্ধতি নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ চলছে। এ মহামারীতে যুক্তরাষ্ট্রের ২ লাখ ১৯ হাজারেরও বেশি লোকের মৃত্যুর হয়েছে।

রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টদের অধীনে কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ৭৯ বছর বয়সী ফাউসি সবসময় কোভিড ১৯-কে গুরুত্বসহকারে নেয়ার কথা বলে আসছেন।  অন্যদিকে মহামারীর সবচেয়ে খারাপ সময় পার হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প।

প্রচারণা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, ফাউসি একটি বিপর্যয়। যদি আমি তার কথা শুনতাম আমাদের ৫ লাখের মৃত্যু হতো। 

ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনী প্রচারণার একটি ভিডিও বিজ্ঞাপনে তার প্রশাসনের মহামারী মোকাবেলা নিয়ে আলোচনায় ফাউসির একটি ক্লিপজুড়ে দেয়া হয়, যা নিয়ে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছেন ফাউসি। 

এর আগে গত রোববার সিবিএসে সিক্সটি মিনিটস অনুষ্ঠানে ফাউসি বলেছিলেন– ট্রাম্প করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ায় তিনি বিস্মিত হননি।

ট্রাম্পের নির্বাচনী সমাবেশগুলোতে তার অনেক সমর্থককেই মাস্ক ছাড়া ও কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এই দৃশ্য ফাউসি ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মহামারী মোকাবেলার যে গাইডলাইন দিয়েছেন তার বিপরীত।     

লাস ভেগাসের ট্রাম্প হোটেল থেকে কথা বলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, টেলিভিশন সাক্ষাৎকারের সময় ফাউসি বোমা মেরেছেন; কিন্তু তাকে বরখাস্ত করা হলে তা আরও বড় বোমা হয়ে উঠবে। মহামারীর কারণে আরোপ করা বিধিনিষেধে যুক্তরাষ্ট্রের লোকজন বিরক্ত হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।