৩৯১ মিনিট আগের আপডেট; রাত ১১:৫৯; শুক্রবার ; ০৩ মে ২০২৪

চট্টগ্রামে যুবলীগনেতার নেতৃত্বে সাংবাদিকের উপর হামলায় গ্রেফতার ৭, সিইউজে'র নিন্দা

মাসুদ পারভেজ, চট্টগ্রাম : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩২

দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে হামলায় আহত হয়েছেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের স্টাফ ক্যামেরাপারসন সেলিম উল্লাহ।  

রোববার (২১ এপ্রিল) রাত সোয়া ১০টার দিকে নগরের মনসুরাবাদ ডিবি অফিসের পাশে ঘটনাটি ঘটে। এলাকার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন ও তার অনুসারীদের সঙ্গে প্রতিপক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে।   

হামলায় আহত সেলিম জানান, ঘটনা চলাকালে তিনি ভিডিও ধারণ করছিলেন। এ সময় তার ওপর হামলা চালায় সাদ্দাম হোসেন এবং তার অনুসারীরা। মারতে মারতে তাকে নিয়ে যায় পাশের একটি খালি জায়গায়। সেখানে মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালাগালির একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সাদ্দাম সহ তার বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা তার ভিডিও ধারণ করা মোবাইলটিও ভেঙে ফেলে।   পরে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয় আহত সাংবাদিক সেলিমকে। তাঁর চোখে এবং পায়ের লিগামেন্টে আঘাত লেগেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।  

এদিকে হামলার ঘটনায় রাতেই মামলা করা হয় ডবলমুরিং থানায়। মামলায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এখনো পলাতক রয়েছে মূলহোতা সাদ্দাম হোসেন।  

ডবলমুরিং থানার ওসি ফজলুল কাদের পাটোয়ারী বলেন, সাদ্দাম সহ পলাতক অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে। ঘটনাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে,বলে জানান, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চট্টগ্রামে দুই সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

সিইউজে'র বিবৃতি

সোমবার (২২ এপ্রিল) সিইউজে সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, রোববার (২১ এপ্রিল) রাত সোয়া দশটার দিকে নগরের মনসুরাবাদ এলাকায় দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গেলে সাদ্দাম হোসেন নামে এক সন্ত্রাসী ও তার সহযোগীদের হামলার শিকার হন সিইউজে সদস্য ও  চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের স্টাফ ক্যামেরাপারসন সেলিম উল্লাহ। এ সময় তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা।

অন্যদিকে, সোমবার বিকেল তিনটার দিকে নগরের বন্দর থানাধীন পশ্চিম নিমতলা এলাকায় ওয়াসার পানির অবৈধ ব্যবসার ভিডিও করতে গেলে জনৈক ইকবালের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সিইউজের আরেক সদস্য ও চট্টগ্রাম প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার রিমন সাখাওয়াতের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাঁকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দু’টি ঘটনাতেই সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি ফুটে ওঠেছে। যা সাংবাদিকতা পেশা ও কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য বড় ধরণের হুমকি। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলায় জড়িত চিহ্নিত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।